আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের উত্তর প্রদেশের বস্তি জেলার মুন্ডিয়ারি গ্রামে, মসজিদে মাইকে আজান দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার গণমাধ্যমে প্রকাশ, এখানে এক যুবক মসজিদে মাইক ব্যবহারে আপত্তি করেছিলেন।

ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এব্যাপারে পিন্টু সিং নামে এক যুবক লাঠি নিয়ে মানুষজনের ওপর হামলা চালায়। এরফলে কয়েকজন আহত হয়েছেন।পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ জানায়, আহতরা সামান্য আঘাত পেয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হওয়ার আগেই বিষয়টি সামাল দেওয়া হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশ, পিন্টু সিং নামে এক যুবক মসজিদের মাইক থেকে আজান দেওয়ার জন্য ইমামসহ তিনজনকে মারধর করে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।

হিন্দি টেলিভিশন চ্যানেল ‘আজতক’–এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ, মসজিদে বসানো মাইক থেকে জোহরের আজান নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। মসজিদের ইমাম তৌফিক আহমেদ মসজিদে জোহরের আজান দেওয়ার পরে গ্রামের মধুবন ওরফে পিন্টু সিং ইমামকে মাইক থেকে আজান দেওয়া যাবে না বলে তাঁকে মারধর করে। রুবিনা (২২), রুখসার (২৮), নাসির (৬০), যারা উদ্ধার করতে এসেছিলেন, তারাও মারধরের ফলে আহত হন।

গ্রাম প্রধান শৈলেন্দ্র যাদবের তথ্যের ভিত্তিতে, কালওয়ারি থানার কর্মকর্তা অরবিন্দ কুমার শাহী পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন এবং আশেপাশের লোকজনের কাছ থেকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসবাদ করেন। বিষয়টি শান্ত করার পর পুলিশ আহতদের চিকিৎসার জন্য এলাকার কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যায়।

গ্রামে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা অরবিন্দ কুমার শাহী বলেন, উভয়পক্ষকে বোঝানোর পর বিষয়টি শান্ত হয়েছে। মারামারির পরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
-পারসটুডে